নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাসসিরে কোরআন ড. সায়্যিদ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকি জৈনপুরী বলেছেন, ১৪ কোটি মুসলমানের রক্ত পানি করা ঘামের পয়সায় পরিচালিত শিক্ষাঙ্গনে বানর তত্ত্ব পড়ানো কোনো মুসলমান মেনে নিবেনা। তিনি বলেন, নতুন পাঠ্যবই থেকে সমস্ত ইসলাম বিরুধি কার্যকলাপ প্রত্যাহার করতে হবে, এই মুসলিম বিদ্বেষ বন্ধ করতে হবে।
পীর সাহেব জৈনপুরী বলেন,
বিজ্ঞানের নামে আমাদের দেশে নতুন বই সমাজ বিজ্ঞান, ইতিহাস, জীব বিজ্ঞান,প্রাণী বিজ্ঞান, এগুলোতে কি শেখানো হচ্ছে?
ঐটা বিজ্ঞান না বিজ্ঞানের নামে গাঁজাখোরি মতবাদ, তিনি বলেন বিজ্ঞান মানেই প্রমান! যেটা প্রমান নাই ঐটা অনুমান, আর অনুমান কখনো বিজ্ঞান হয়না! বাংলাদেশে বিজ্ঞান বইতে অনুমানকে বিজ্ঞান নাম দিয়ে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। দুনিয়ার সমস্ত সাইন্টিস্ট একমত দ্যা থিওরী অব ইবুলেশন ইজ নট এ সাইন্টিফিক ফ্যাক্ট ইট ইস নাথিং বাট হাইপো থিসিস অব চার্লস ডারউইন। বিবর্তনবাদ কোনো বৈজ্ঞানিক মতবাদ নয়! এটা চার্লস ডারউইনের একটা গাঁজাখোরী মতবাদ। এটা কোন মুসলমান গ্রহন করতে পারেনা।
তিনি আরো বলেন ১৭ কোটি ৪৬ লক্ষ মানুষের বাংলাদেশে ১৪ কোটি মুসলমান! আর সেই চৌদ্দ কোটি মুসলমানের রক্তপানি করা ঘামের পয়সায় যে দেশ চলে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চলে, সেখানে বিজ্ঞানের নামে বানর তত্ত পড়ানো হবে এটা কোনো মুসলমান মেনে নিতে পারেনা।
তিনি বলেন,বেঈমান – মুনাফিক, নাস্তিক – মুরতাদদের বিরুধ্বে আলেম- উলামা সহ সর্বস্তরের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার হবিবপুর ও কেশবপুর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা কর্তৃক আয়োজিত মাদ্রাসা মাঠে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম হিরা মিয়ার সভাপতিত্বে ও মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আবিবুল বারী আয়হান ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল হাকিমের যৌথ পরিচালনায় ৬৫ তম বিশাল ইসলামী মহা সম্মেলনে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন ওসি মিজানূর রহমান, উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুহুরায়রা ছাদ মাস্টার সহ সভাপতি ডঃ জিয়াউর রহিম শাহিন, সমাজসেবক জাহাঙ্গির হোসেন,কাউন্সিলর কামাল হোসেন,আলাল হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এসময় জগন্নাথপুর উপজেলা সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা কয়েক সহস্র মুসল্লি ও ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply